আজকাল আমি
নদীর তীরে আর যাই না।
নদী দেখলে
সুন্দরী এক রমণী মুখ মনে পড়ে।
নদীর উত্তাল তরঙ্গ দেখলে
সেই রমণী বুকের
উপচে পড়া যৌবন মনে পড়ে।
পরিত্যক্ত বালুকারাশি দেখলে,
সেই নারী যৌবনের
অবহেলিত উপত্যকা মনে পড়ে।
অথচ তাকে আমি ছুঁতে চেয়েছিলাম।
হাত দিয়ে নয়
হৃদয় দিয়ে।
কানে কানে তাকে বলেছিলাম-
শোনো, আমার হৃৎপিণ্ডে
আলাদিনের প্রদীপ আছে,
অবসাদের বুকে সে স্বপ্ন আঁকতে পারে।
আমার প্রশ্বাসে বৃষ্টি আছে
নারী গর্ভে সে সবুজ আনতে পারে।
আমার নখে জাদু আছে
নারী যৌবনে সে আগুন জ্বালতে পারে।
সে নারী,
আড়চোখে তাকিয়ে তাকিয়ে
আমাকে অনেকক্ষন ধরে মেপেছিলো।
ঠোঁটের কোণে বাঁকা হাসি হেসে
সে জিজ্ঞেস করেছিলো-
‘তুমি আগুন ফেরি করো বুঝি? ‘
আমি বলতে চেয়েছিলাম-
ফেরি করা আমার অভ্যাস নয়।
তবে উপযুক্ত পাত্র পেলে
বরফেও আমি আগুন জ্বালতে পারি।
কিন্তু সে নারী
সুযোগ আমাকে দেয় নি।
গালে আমার সজোরে থাপ্পড় কসিয়ে
দ্রুত প্রস্থান করেছিলো সে।
যে নারী পুরুষ গালে
কসিয়ে থাপ্পড় মারতে পারে
আমি তাদেরই বেশি পূজা করি।
যে নারী পুরুষ বুকে
গাঁইতির কোপ বসাতে পারে
আমি তাদেরই বেশি ভালোবাসি।
ক্রুদ্ধ নারী বুকে
যে পুরুষ ভালোবাসার দংশন আঁকতে পারে না,
তাকে আমি পুরুষ গণ্য করি না।
তৎক্ষণাৎ-ই,
সেই ক্রুদ্ধ নারীর প্রেমে ডুবেছিলাম আমি।
সেই নারীর নীল গহ্বৰ থেকে
আজও আমি ভেসে উঠতে পারি নি।
অবশ্য
ভাসার কোন ইচ্ছেও আমার হয় নি।
ক্রুদ্ধ নারীর স্পর্শ আমার গালে
তাই বা কম কি?
তবে জেনে রেখো মালবিকা,
একদিন না একদিন
তোমার ক্রুদ্ধ উদ্ধত বুকে
ভালোবাসার দংশন আমি আঁকবোই।
© অরুণ মাজী
Painting by: Unknown (please let me know if you know name)
You May Also Like:
- You Are Just A Dream
- ঈশ্বরের ক জন শয্যা সঙ্গিনী? (On God And Belief)
- পাগলপনা এক জীবনদায়ী ওষুধ (Human Suffering)
- Man Cannot Live Without Madness
- আমারই কাপুরুষতায় (Amari-I Kapurushotay)
- আমি চাই রমণী দাঁতের দংশন (Ami Chai Romoni Danter Dongshon)
- আমি ভালো নেই (দ্বিতীয় খন্ড) (Ami Bhalo Nei – 2)
- নারী স্পর্শ (Nari Sporsho)
Leave a Reply