শ্রদ্ধা
চেয়েছিলাম বাড়ির আনাচে কানাচে পরে থাকা মুকুট
কিংবা রাস্তার ধারে ধুলোয় লুটোপুটি খাওয়া পালক
কিন্তু কই, সে তো কিছুই পেলো না,
না পেলো জড়িয়ে নিতে, না পেলো রৌদ্রের মতোতাপ নিতে
যদিওদু- দুটি বিশ্ববিদ্যাল্যের গেট পেরিয়েছিল সে
আগুন শিখায় সেঁকে অর্জন করেছিল অভিজ্ঞতা
জীবন দক্ষতা তার কাছে নলক বাঁশির সূর
মেঘলা দিনের শিশির, ঘাসের ডগায় রংধনুর ঝিলিক
তবুও সে পেল অচল বা চলেনাএমন কটূক্তি
তার কাছ থেকে পাওয়া গেল যে কিনা মানেগুনে মধ্যম গতির
গ্রীষ্মের ফাটা কাঠ, শত ছিদ্র কলসি,
তবে এমনটি হওয়ার কথা ছিল না, তবুও হলো
কারন ক্ষুদ্র লোকের স্বার্থে আঘাত, সে বাস কন্ডাক্টর
আর আমি ভিড়ের জন্য তার বাসে উঠি নি – –
যে নিন্দার ভয়ে ভয়হীন হৃদয়ে সর্বদা থেকেছি হাত তুলে
সুযোগ পেয়েও সুযোগ নিই নি, দিই নি কাঁচা মাংসে হাত
মাখিনি তেল, বিশ্বাস করিনি প্রচার প্রসারের তুকতাক
ঘৃণায় বর্জন করেছি প্রবেশ লুঙ্গি বা সায়ার ভেতর
কেননা আমি জানি ঘেউ ঘেউতে কিছু যায় আসে না
তবু পেলাম এক ঝুড়ি সাজানো গোছানো পরের মুখের ঝাল খাওয়া তকমা
আমি ভালো মানুষ না, এমন ঘিন ঘিনে পরনিন্দা
এমন হওয়ার কথা ছিল না,তবু হলো
কারন…আমি খিদে পেটে রঙ্গরস
আর অবকাশহীন মস্তিষ্কে পঞ্চরস পচ্ছন্দ করি না
কেননা আমি জানি স্থিরতাই লক্ষ্য
উন্নত লক্ষ্যই একমাত্র উন্নতির সোপান
তবুওযা পাওয়ার কথা ছিল তা পেলাম না
কারন সুযোগ সন্ধানী
আর ঈর্ষাকাতর ব্যাক্তির কাছে তা থাকে না
যার মনচুরি নাম শ্রদ্ধা ।
Leave a Reply